পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

 স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় যা যা আপনাকে ভালো করে অনেক কিছু দেখে নিতে পারেন। পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে বিষয় দেখে নিলে আপনি কখনো ধরা খাবেন না। বর্তমান সময়ে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগ্রহ বেড়েই চলেছে।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপের গুণগত মান, তার ব্যাটারি কিরকম আছে, ডিসপ্লে ঠিক আছে কিনা, ল্যাপটপের স্কিন ভালো আছে কিনা, ল্যাপটপের টাস প্যাড ভালো করে কাজ করে কি্না, কত মিনিটে ফুল চার্জ হয়, পুরাতন ল্যাপটপটি কতদিন আগে ক্রয় করা হয়েছে সহ বেশ কিছু লুকানো তথ্য আপনি বের করবেন তা স্টেপ বাই স্টেপ সু স্পষ্ট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। তাই পুরো আর্টিকেলটি করার জন্য অনুরোধ রইল।

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যেগুলো জানতে হবে

পুরাতন ল্যাপটপ বলতে বুঝি ব্যবহার করার ল্যাপটপ। এই ল্যাপটপগুলো সাধারণত বাহিরের দেশে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যখন একটি প্রজেক্ট শেষ হয়ে যায় তখন ব্যবহৃত ল্যাপটপগুলো নিলামের লট হিসাবে বাংলাদেশে আসে। তবে আপনাকে পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবেঃ-

  • সকল পোর্ট ভালোভাবে চেক করা যেমনঃUSB Port, Cherginh Port ,VGA Port , HDMI Port ইত্যাদি
  • ল্যাপটপের প্যাড চেক করা ভালোভাবে কাজ করে কিনা
  • কিবোর্ড চেক করে নেওয়া সব বাটন কাজ করে কিনা
  • ডিসপ্লে তে কোন প্রকার দাগ দেখা যায় কিনা। যেমন বিন্দুর মতো দাগ দেখা দিতে পারে
  • ল্যাপটপটি পূর্বে কোন প্রকার রিপেয়ার করা হয়েছে কিনা বা খোলা হয়েছে কিনা
  • ল্যাপটপের কনফিগারেশন চেক করা। কোন জেনারেশনের ল্যাপটপ
  • র‍্যাম রোম চেক করা
  • বডি সেকশন ভালো আছে কিনা
  • ল্যাপটপের ক্যামেরা ক্লিয়ার আছে কিনা
  • সাউন্ড সিস্টেম সঠিক আছে কিনা

কোন ল্যাপটপ ভালো? ভিন্ন কাজের ভিন্ন ধরনের ল্যাপটপ

বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। আর কম্পিউটার হল এর অনেক বড় একটি অংশ। কম্পিউটার সাধারণত দুই ধরনের হয়, ল্যাপটপ কম্পিউটার এবং ডেস্কটপ কম্পিউটার। তবে ডেস্কটপ এর তুলনায় ল্যাপটপ অনেক ছোট হওয়ার কারণে এর জনপ্রিয়তা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। আপনি হয়তো সারা বছরের জমানো টাকায় বাজেটের মধ্যে একটা মনের মত ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবছন। কিন্তু বাজারে এত এত মানের ল্যাপটপ আছে যেখান থেকে আপনার কাঙ্খিত ল্যাপটপে খুঁজে বের করায় দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ল্যাপটপ কেনার পূর্বে এ বিষয়ে জেনে নিন কিছু তথ্য এবং ল্যাপটপের দাম এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।

প্রথমে ঠিক করুন ঠিক কি কাজে আপনি ল্যাপটপ টি কিনছেনঃ

স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপঃ স্ট্যান্ডার্ড ল্যাপটপ অনলাইন ক্লাস, ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ভিডিও চ্যাট এবং কনফারেন্স, ই-বই পড়া এবং অফিস সফটওয়্যার এ ধরনের কাজের জন্য ভালো। এই ধরনের ল্যাপটপে ইন্টেল সেলেরন, কোর আই-৩ বা রাইজেন-৩ প্রসেসর ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মূল্য ৪৫-৪৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

প্রফেশনাল ল্যাপটপঃ এগুলোতে শক্তিশালী হার্ডওয়ার থাকে। এগুলো ফ্রিল্যান্সিং, প্রোগ্রামিং, এবং অন্যান্য প্রফেশনাল কাজের জন্য ভালো। কোর আই-৫ বা রাইজেন সিরিজের সর্বশেষ জেনারেশন ব্যবহার করা হয়। এগুলোর বাজার মূল্য ৬০-৬৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।

বিজনেস ল্যাপটপঃ যদি ব্যবসায়িক কাজে ল্যাপটপ কিনতে চান তাহলে কম ওজনের ছোটখাটো আলট্রা বুক কেনায় ভালো। ল্যাপটপের ওজন ১.৫ কেজির নিচে হলে ভালো হয় এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ যেন ৬ ঘন্টার উপর হয়। কোর আই-৭ প্রসেসর, ৮ জিবি র‍্যাম, ssd card, এবং ৪-৮ জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স আছে এমন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন।

গেমিং বা গ্রাফিক্স এডিটিং ল্যাপটপঃ যদি গেম খেলার জন্য উপযুক্ত ল্যাপটপ খুঁজেন তাহলে কোর আই-৭ প্রসেসর,১৭ ইঞ্চি স্ক্রিন,৮ থেকে ১৬ জিবি র‍্যাম, এসএসডি, অথবা হাইব্রিড স্ট্রোরেজ, এবং ৪-৮ জিবি ডেডিকেটেড গ্রাফিক্স আছে এমন ল্যাপটপ কেনার চেষ্টা করুন।

আরো স্পষ্ট ধারণা পেতে নিজের পয়েন্টগুলো ভালো করে দেখে নিন

প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করুনঃ ম্যাক, উইন্ডোজ নাকি ক্রোম ও এস-আপনি যদি ম্যাক বা পিসির সাথে পরিচিত হয়ে না থাকেন তাহলে এই প্রশ্নটির উত্তর আপনার জন্য খানিকটা কঠিন হবে। প্রতিটা প্লাটফর্মের সুবিধা ও অসুবিধা গুলো যাচাই করে সিদ্ধান্ত নিন।
  • উইন্ডোজঃ এটি হচ্ছে সবচেয়ে সহজবোধ্য অপারেটিং সিস্টেম। ক্রোম ও এস ও ম্যাকের তুলনায় উইন্ডোজের অনেকগুলো মডেল আছে। উইন্ডোজ এ টাচ স্ক্রিন থেকে শুরু করে ফিঙ্গারপ্রিন্ট এ রিডার, ডুয়েল গ্রাফিক্সসহ নানা রকমের ফিচার আছে। উইন্ডোজ ১০ হচ্ছে মাইক্রোসফট ফ্লাগশিপ অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ যা উইন্ডোজ ৭ ও ৮ এর তুলনায় কিছু বাড়তি সুবিধা প্রদান করে। উইন্ডোজ ১০ এ আছে ট্যাবলেট থেকে ডেক্সটপ মোডে পরিবর্তনের ক্ষমতা, লাইভ টাইলসহ রিভাম্পড স্টার্ট মেনু এবং শক্তিশালী করটানা ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট। অবশ্যই ২০১৫ সালের জুলাই মাসে বাজারে আসার পর উইন্ডোজ ১০ আরো কিছু ইমপ্রুভমেন্ট এনেছে যা হল ফলোআপ প্রশ্নের ব্যবহার, সহজাত ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে ইমেইল খোজা এবং স্টাইলাস দ্বারা যে কোন স্থানে লেখা।
  • অ্যাপেল ম্যাক ও এসঃ সব ম্যাকবুকে আছে অ্যাপেলের ডেস্কটপ অপারেটিং সিস্টেমের সর্বশেষ সংস্করণ ম্যাক ও এস সিয়ারা। অল্প কিছু ভিন্নতাবাদে সামগ্রিকভাবে এই অপারেটিং সিস্টেমের কার্যকারিতা প্রায় উইন্ডোজ ১০ এর মতোই। এর ইন্টারফেস উইন্ডোজ থেকে হালকা ভিন্ন এবং এতে করটানা ডিজিটাল এসিস্ট্যান্ট এর পরিবর্তে সিরিয়া ব্যবহৃত হয়। ম্যাক ব্যবহারকারীরা অ্যাপেল পে চেকের মাধ্যমে লেনদেন করতে, আপেল ঘড়ির মাধ্যমে ল্যাপটপ আনলক করতে, এবং মোবাইলের মাধ্যমে কল ও টেক্সট আদান প্রদান করতে পারে। ম্যাকবুকে কোন টাচ স্কিন নেই।
  • ক্রোম ও এসঃ গুগল ও এস খুবই সাধারণ ও নিরাপদ কিন্তু সীমিত। এর ইউজার ইন্টারফেস উইন্ডোজের মতোই কিন্তু এর প্রধান application হচ্ছে chrome browser। এর অসুবিধা হচ্ছে অফলাইনে থাকা অবস্থায় প্রয়োজনীয় কিছু ওয়েব এপ্লিকেশন ভালো মতো কাজ করে না। কিন্তু ক্রোমবুক সস্তা ও হালকা হওয়ায় ওয়েব ব্রাউজিং, ইমেইল চেক, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার ও অনলাইন সেটিং এর জন্য বেশ ভালো। এর ব্যাটারি লাইফও যথেষ্ট ভালো।

বাজারে সেরা ১০ টি ল্যাপটপ কম্পিউটার

ল্যাপটপ কেনার সময় মানুষ বেশ কিছু জিনিস চিন্তা করে। তবে ল্যাপটপ কেনার আগে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি জরুরি সেটা আপনি কি কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনছেন। কারণ এক একটি কাজের জন্য এক এক রকমের ল্যাপটপ প্রয়োজন। ল্যাপটপ কেনার আগে অবশ্যই আপনার বাজেটের মধ্যে ল্যাপটপের পারফরম্যান্স ও সুবিধা অসুবিধা দেখে ল্যাপটপ কিনবেন। বাজারের সেরা দশটি ল্যাপটপ-

  • Apple Macbook Air 13-সেরা আর আল্ট্রা পোর্টেবল
  • Apple Macbook Pro Air 13-inch-সেরা দক্ষ আল্ট্রা পোর্টেবল
  • Apple Macbook Pro Air 15-Inch-ডেক্সটপ এর সেরা বিকল্প
  • HP Cromebook 11-সাধারণ কাজে ব্যবহারের জন্য সেরা আল্ট্রা পোর্টেবল
  • Dell Inspiron 3000 series 2-in-1-সেরা মানের হাইব্রিড ল্যাপটপ
  • Lenovo Thinkpad X240-মেরা বিজনেস এর আল্ট্রা বুক
  • Lenovo Flex 2-ডায়নামিক ডেস্কটপ এর সেরা বিকল্প
  • MSI GS60 Ghost Pro 3k-সেরা গেমিং আল্ট্রা পোর্টেবল
  • Toshiba Kirabook 13 i7s Touch-বিজনেস আলট্রা বুক
  • Toshiba Satellite Radius P55W-b5224-ট্যাবলেট আলট্রা বুক

লেখকের মতে

পুরাতন ল্যাপটপ কেনার আগে করনীয় দিক নির্দেশনা ভালো করে যাচাই-বাছাই করবেন। আমার দেওয়া সকল অনুসরণ করবেন তাহলে আপনি পুরাতন ল্যাপটপ কিনতে করবেন না। আপনাদের মাঝে আলোচনা করা হয়েছে প্লটনের ল্যাপটপ কেনার আগের দিক নির্দেশনা এবং পুরাতন ল্যাপটপ সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত যা আপনাকে ল্যাপটপ কেনার আগে ল্যাপটপ সম্পর্কিত জ্ঞান বাড়াবে। যাতে ল্যাপটপ সম্পর্কে আপনাদের সুস্পষ্ট ধারণা হয়। যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের জানান। ধন্যবাদ।
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url