প্রকিতি ও সামাজিক পরিবেশর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন
প্রাকিতিক পরিবেশ অথবা প্রাতিকিত জগৎ বলতে সমগ্র জীবিত এবং প্রানহীন বস্তুর স্বাভাবিক অবস্থানকে বুঝায়, এক্ষেত্রে এটা মোটেও কৃত্তিম নয়। এই শব্দটি প্রায়শই প্রিথিবীতে অথবা প্রিথিবীর কিছু অংশে ব্যবহিত হয় ।সমস্ত প্রজাতি,জলবায়ু ,আবহাওয়া এবং প্রাকিতিক সম্পদ এই পরিবেশের অন্তর্ভুক্ত যেতা মানুষের বাঁচা ও অর্থনৈতিক কার্যকলাপকে প্রবাহিত করে।
প্রাতিকিত পরিবেশের ধারনাকে নিম্নলিখিত উপাদানে ভাগ করা যায় ঃ
মানুষের বিশাল হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্পূর্ণ পরিবেশগত এককসমূহ যেমন- গাছপালা,অনুজীবসমুহ, মাটি ,শিলাসমূহ , বায়ুমন্দল।
প্রাকিতিক ঘটনাঃ যেগুলা তাদের সীমানা এবং তাদের ।আকৃতির মধ্যে ঘটে।
বৈশ্বিক প্রাকিতিক সম্পদসমূহ এবং পদার্থ বৈজ্ঞানিক ঘটনা যেগুলা পরিষ্কার ভাবে পরিসীমাকে কমায়, যেমনঃবায়ু,জল,এবং জলবায়ু,এছাড়া শক্তি,বিকিরন, বৈৎদুতিক আধান ও চুম্বক ইত্যাদি প্রাকিতিক পরিবেসের অংশ।
সামাজিক পরিবেশের ধারনা
প্রাকিতিক পরিবেশের ঠিক বীপরিত হল নির্মিত পরিবেশ বা সামাজিক পরিবেশ। কিছু এরকম অঞ্চল আছে যেখানে মানুষ সহর গঠন ও ভূমি রূপান্তরের মতো ভূ্দ্রিশের মৈলিক পরিবর্তন ঘটায়। প্রাকিতিক পরিবেশ বদল হয়ে এটা একতা সরলীকৃত মানব পরিবেশে পরিনিত হয়।
এমনকি দেখা যায় যেটা চরম নয়,যেমন মাটি দিয়ে বানানো কুড়েঘর অথবা মরুভূমিতে ফোটভোল্টাইক পদ্ধতি,এই সংশধিত পরিবেশ কৃত্তিম হয়ে যায়।যদিও মানুষ ছাড়া অনেক প্রাণী তাদের নিজেদের পরিবেশ ভালো করার জন্য কিছু জিনিস তৈরি করে,সুতরাং বীবর বাধ এবং উই ঢিবির কাজ,এগুলকে প্রাকিতিক হিসেবে ধরা হয়।
প্রাকিতিক এবং সামাজিক পরিবেশ
প্রাকিতিক ও সামাজিক পরিবেশ দুটি প্রধানভাবে আমাদের জীবন প্রতিষ্ঠান করে এবং এদের মধ্যে সম্পর্ক অতীত এবং ভবিষ্যতে আমাদের প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব নির্ধারণ করে।
প্রাকিতিক পরিবেশ,
-প্রাকিতিক পরিবেশ প্রিথীবিতে উপস্থিত বা সংঘতিত সব নাম গুলি যেমনঃবায়ু,জল, মাটি, উষ্ণতা, বন, উষ্ণায়ন, ব্রিশ্তি, তুষার, পারিস্থিতিক ইত্যাদি।
-প্রাকিতিক পরিবেশের পরিবর্তন সাধিত হয় জল, আবহাওয়া ,পারিস্থিতিক ইত্যাদির মাদ্ধমে।
-প্রাকিতিক পরিবর্তন কেন্দ্রীয়ভাবে বায়ুমণ্ডল গ্রীশ্মকালীন ও শীতকালীন বৃষ্টি, তাপমাত্রা বৃদ্ধি, আবহাওয়া পরিবর্তন ইত্যাদি হতে পারে।
সামাজিক পরিবেশ,
-সামাজিক পরিবেশ মানব সমাজের উপস্থিত বস সংঘটিত সমস্ত উচ্চারন, চেশ্তা, আচার ধর্ম ,সংস্কৃত , শিক্ষা, বিশেষ দিকে পরিবার ও সম্প্রদায়, রাজনীতি ইত্যাদি যেমন মৈলিক দৃষ্টিভঙ্গি , সামাজিক নীতি, সংস্কৃতি ইত্যাদি।
-সামাজিক পরিবর্তন হতে পারে ব্যক্তিগত,সামাজিক ও রাজনীতিক দিকে। উদাহরুসরূপ,প্রযুক্তির উন্নতি,শিক্ষার প্রবৃদ্ধি, সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি।
পরিবেশ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত তথ্য ঃ
আমাদের চারপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ। অর্থাৎ মাটি, পানি, বায়ু, গাছ,-পালা, নদী-নালা, জীব-জন্তু আকাশ ইত্যাদি সব কিছু নিয়েই পরিবেশের সৃষ্টি। তবে পরিবেশের প্রধান উপাদান তিনটি। যথাক্রমেঃমাটি,পানি ও বায়ু ।জার্মান শব্দ Environ থেকে Environment বা পরিবেশ শব্দটির উৎপত্তি।
পরিবেশের ইংরেজি অর্থ হল Environment.পরিবেশ কে প্রধানত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে,প্রাকিতিক পরিবেশ ও সামাজিক পরিবেশ। মানুষের জীবনযাপনের জন্য পরিবেশের গুরুত্ত অপরিসীম।
পরিবেশ সংরক্ষনের ১০ টি উপায়
- জনসচেতনা সৃষ্টির মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- আমাদের চারপাশের ময়লা আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট ফেলে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- বাড়ির চারপাশে বা রাস্তার দুই ধারে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়ে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- প্রাকিতিক সম্পদের ব্যবহার কমিয়ে এবং রিসাইকেল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ।
- মটরগাড়িতে চড়ার পরিবর্তে পায়ে হেটে সাইকেল ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- প্রাকিতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- অহেতুক বিদ্যুৎ অপচত না করে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- শব্দ, বায়ু, পানি, মাটি ইত্যাদি দূষণ থেকে পরিবেশ কে রক্ষা করলে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- জীবাশ্ম জালানী ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
- প্রাকিতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুরক্ষা করার মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url