বাংলাদেশের সামরিক অস্ত্রের তালিকা

বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ও অস্ত্র ভান্ডার বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর দেশের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, যানবাহন ও প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকেন।
বাংলাদেশের সামরিক অস্ত্রের তালিকা
দেশটির সামরিক বাহিনীকে আধুনিক এবং কার্যকরী রাখতে সরকার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অস্ত্র সংগ্রহ, স্থায়ী উৎপাদন এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন অব্যাহত রাখছে। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর অস্ত্রের তালিকা অনেক বিস্তৃত, যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ক্ষেপণাস্ত্র, মেশিনগান,রাইফেল,ট্যাংক, নৌযান এবং অন্যান্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।

বাংলাদেশের সামরিক অস্ত্রের তালিকা

যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী( BAF) অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার ব্যবহার করেন, যার দেশটির আকাশ সীমা সুরক্ষিত রাখার জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছেঃ

F-7BG: চিনা নির্মিত একটি তেজস্বী ফাইটার জেট যা বিমান বাহিনী ১৯৯৯ সাল থেকে ব্যবহার করছে। এটি একটি মাল্টিরোল ফাইটার যা কম্বিট মিশন এবং আকাশপথে প্রতিরক্ষা করার ক্ষমতা রাখে।

K-8Wঃ এটি একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। এটি আধুনিক প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যাতে পাইলটরা উন্নত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।

মীহ-২৯ঃ এটি একটি অত্যাধুনিক রাশিয়ার নির্মিত ফাইটার জেট।মীগ-২৯ বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর শক্তি বৃদ্ধি করেছে এবং দেশের আকাশ সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।

হেলিকপ্টারের মধ্যে রয়েছেঃ


Mi-17: রাশিয়ার নির্মিত একটি ভারী হেলিকপ্টার যা পরিবহন, উদ্ধার এবং যুদ্ধ মিশনে ব্যবহৃত হয়.

Bell412: এটি একটি মাল্টিরোল হেলিকপ্টার, যা বাংলাদেশ বিমান বাহিনী বিভিন্ন উদ্ধার ও পরিবহন মিশনে ব্যবহার করে.

ট্যাংক ও যানবাহন

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ট্যাংক এবং সামরিক যানবাহন বাহিনীর স্থল যুদ্ধে কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। বিভিন্ন ধরনের ট্যাংক এবং সাজোয়া যান বাহিনীকে আধুনিক যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত করেছেন।

T-55ট্যাংকঃ এটি একটি সোভিয়েত তৈরি ট্যাংক যা ১৯৭০ সালের দশক থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ব্যবহৃত হচ্ছে। যদিও এটি পুরনো প্রযুক্তি, তবুও এটি এখনও কার্যকরী।

T-80: আধুনিক রাশিয়ান তৈরির ট্যাংক যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কয়েকটি ইউনিটে যোগ হয়েছে. এই ট্যাংকটি উচ্চমানের বর্ম এবং শক্তিশালী কামান দিয়ে সজ্জিত।

অ্যাম্বুলেন্স ও সাজোয়াযান

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সাজোয়া যান এবং হালকা যানবাহন ব্যবহার করে বিশেষ অপারেশন ও নিরাপত্তার নিশ্চিত করে।

অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিভিন্ন ধরনের ছোট, মাঝারি এবং ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে রয়েছেঃ-

AK-47 রাইফেলঃ এটি একটি অসাধারণ আগ্নেয়াস্ত্র যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বারা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি সহজেই ব্যবহারযোগ্য এবং যুদ্ধে কার্যকর।

M-16: এটি একটি আধুনিক রাইফেল, যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নকল ক্ষেপণাস্ত্রঃ বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছর গুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। দেশের হাতে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম রয়েছে, যার মধ্যে-ss-21 এবং BM-21 গ্রাড রয়েছে।

ফেরাক্লাসঃ এটি একটি উন্নত ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র সিস্টেম, যা একাধিক লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম।

নৌযান ও উপকূলীয় প্রতিরক্ষা

বাংলাদেশ নৌবাহিনী দেশের জলসীমা সুরক্ষিত রাখতে আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, সাবমেরিন এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে।

বিমান বাহিনী ও যুদ্ধবিমান

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী আধুনিক যুদ্ধবিমান এবং হেলিকপ্টার নিয়ে সজ্জিত। যেমন-

এফ-7(F-7): এটি বাংলাদেশের বিমান বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধবিমান, যা আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণে ব্যবহৃত হয়।

এফ-১৬(F-16)ঃ আধুনিক বিমান হিসেবে, এটি অত্যন্ত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এবং বহুমুখী সুবিধা প্রদান করে।

কোয়ান্টাম শলাশ (C-130)ঃ বিমান বাহিনীর পরিবহন বিমান সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে ব্যবহৃত হয়।

হেলিকপ্টারঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনী হেলিকপ্টার গুলোর মধ্যে রয়েছে,

সুপার পুমাঃ এটি একটি ভারী পরিবহন হেলিকপ্টার, যা সেনা ও সরঞ্জাম পরিবহন ব্যবহৃত হয়।


মি-১৭ঃ এই হেলিকপ্টারটির উদ্ধার, পরিবহন এবং আক্রমণের কাজে ব্যবহৃত হয়।

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি

বাংলাদেশ সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করতে ব্যালেন্সটি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। যেমন-

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এমডিএম)ঃ এই ক্ষেপন অস্ত্রগুলো খুবই শক্তিশালী এবং আক্রমণে ব্যাপক সক্ষমতা রাখে।

এন্টি-ইয়ারক্রাফট ক্ষেপণাস্ত্র (মিসাইল সিস্টেম)ঃ দেশের আকাশ প্রতিরক্ষার জন্য অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়।

ড্রোন ও রিমোট সেনসিং প্রযুক্তি

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ও রিমোট সেন্সিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে, যা গুপ্তচর বৃত্তি, শত্রুর অবস্থান চিহ্নিতকরণ এবং আক্রমণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ধরনের ড্রোনগুলি বিশেষভাবে খোঁজখবর নেওয়া ও আক্রমণ চালানোর কাজে ব্যবহৃত হয়।

উপসংহার

বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী, যেটি দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার জন্য প্রতিনিয়ত প্রস্তুত থাক্‌ আধুনিক এবং শক্তিশালী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর প্রতিটি বিভাগ তাদের নিজস্ব দক্ষতা ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষা করে থাকে। অতীতে অর্জিত সামরিক শক্তির আধুনিকরণ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে আরও দীর্ঘ করেছে।



ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url