শীতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিন্তে প্রয়োজনে ১০ টি উপায়
সামুদ্রিক মাছের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা গরম শেষ হওয়ার পরপরই শিশুরা অসুস্থ হয়ে যায়। বছরে এই সমস্যা শিশুদের জন্য অসুস্থ হয়ে যাওয়ার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। হঠাৎ যে ঠান্ডা লেগে যাওয়া, জ্বর আসা এগুলো খুব সাধারণ একটি বিষয়।
শীতের সময় ভেবে আমরা শিশুদের পানি ধরতে দেয় না, বা বাইরে খেলতে যাওয়া বন্ধ করে দেয় এমনকি খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও অনেক নিষেধাজ্ঞা বেধে দেই। কিন্তু আসলে কি সুস্থ থাকার জন্য এই নিষেধাজ্ঞা গুলো প্রয়োজন আছে? শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কোন কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন, জেনে নিন তাহলে-
শিশুর শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিন্তে সেরা ১০ টি উপায়
- নিয়মিত হাত ধোয়া
- নিয়মিত গোসল করানো
- নিয়মিত সোয়েটার বা পোশাক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা
- দরজা জানালা খুলে রাখা বা স্যাতসেতে জায়গা পরিহার করা
- গরম বা পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো
- শিশুদের ত্বকের যত্ন নেওয়া
- পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলাধুলা করা
- পর্যাপ্ত এবং নিয়মিত ঘুম
- পানি পান করানো
- রাতে ওয়াইপসের ব্যবহার করা
শীতকালীন অসুখ থেকে শিশুকে যেভাবে সুরক্ষিত রাখবেন
শীতকালে সাধারণত আমাদের সবারই ঠান্ডা, সর্দি, কাশি বাজার বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত এই রোগগুলো শিশু এবং বয়স্কদের একটু বেশি হয়ে থাকে। কারণ শিশু এবং ক্ষমতা অনেক কম থাকে। কারো সর্দি,হাচি, কাশি এবং গলা বসে যাওয়া বা গলা ব্যথা হল্ তা সাধারণ ঠান্ডা, মৌসুমী ফ্লু বা কোল্ড এলার্জি কিনা এগুলো আলাদা করে বলা সব সময় খুব একটা সহজ নয়। তাই, শীতকালীন কিছু সাধারন রোগ গলায় নিয়ে আলোচনা করা হলো-
সাধারণ ঠান্ডা
এ অবস্থায় আক্রান্ত শিশুর অনুর্বর তো পানি পড়া, শরীরের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পাওয়া বা হালকা জ্বর ভাব এবং অরুচি বা খেতে অনিচ্ছা এবং সামান্য গলা ব্যাথা থাকতে পারে। সেই সাথে নাক বন্ধ থাকতে পারে। শিশুর নাক বন্ধ থাকলে ড্রপ ব্যবহার করতে পারেন। ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণ লবণ পানির ড্রপ(০.৯ শতাংশ নরমাল স্যালাইন) ব্যবহার করা নিরাপদ।
ঠান্ডায় এলার্জি
অনেক বেশি সংবেদনশীল শিশুদের, শীত এলেই বারবার ঠান্ডায় উপসর্গ দেখা দেয় অথবা প্রায় সম্পূর্ণ শীতকাল জুড়ে ঠান্ডা লেগে থাকে। যাকে কোল্ড এলার্জি বা শীতকালীন সংবেদনশীলতা বলা যেতে পারে। অনেক বয়স্ক ব্যক্তিও হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন বাড়ে অসুস্থ থাকেন। আর এর বেশিরভাগ কারণগুলো হলোই কোল্ড এলার্জি বা শীতকালীন সংবেদনশীলতা। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা আবহাওয়া দেখে নিস্তার পাওয়ার জন্য মাস্ক বা সালবিউটামল ইনহেলার ব্যবহার করতে পারেন। এবং দীর্ঘ মেয়াদে ভালো থাকার জন্য মন্টিলুকাস ট্যাবলেট খেতে পারেন।
এলার্জিক রায়নাইটিস
এই ধরনের অসুখটি শিশুদের সহ বড়দের মতো বেশ প্রকট। এলার্জিক রাইনায়টিসে আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৩০ শতাংশ পরবর্তীকালে এ্যাজমাই আক্রান্ত হয়। এই পোকার রোগ গুলোর শীতকালে প্রকট আকার ধারণ করে। এগুলো সাধারণত বায়ুবাহিত রোগ যা বায়ুবাহিত ছত্রাকের মাধ্যমে ছড়ায়।
এছাড়া রয়েছে এজমা বা হাঁপানি, ব্রঙ্কি ওলাইটিস, মৌসুমী ফ্লু, ইত্যাদি।
শীতে শিশু সুরক্ষায় ১০ টি উপায়
শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় শিশুরা ত্বকের নানা সমস্যা সহ আক্রান্ত হয় ঠান্ডা, জ্বর, সর্দি বা কাশিতে। এ সময় তাই শিশুদের বেশি যত্ন প্রয়োজন। তাই সীতা আসার আগে জেনে নিন শিশু সুরক্ষা নিশ্চিতে এ সময় অনুবাদ্যের করণীয় কিঃ-
- ঠান্ডা পরিবেশে শিশুকে শীতের পোশাক পড়ে শিশুকে গরম রাখতে হবে।
- এই সময় শিশুর গোসল কোনভাবেই বন্ধ করবেন না। বরং হালকা গরম পানিতে শিশুকে নিয়মিত গোসল করান এবং ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
- গোসল আর তোকে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার হয়ে গেলে শিশুকে প্রতিদিন ২০ মিনিটে জন্য সূর্যের তাপে রাখুন।
- শিশুকে ঘরের বাইরে নেওয়ার সময় তার মাথা, গলা এবং কান শীতের পোশাকে ঢেকে তবে বাইরে বের হবেন।
- শিশুকে গরম কাপড় পরনার আগে অবশ্যই একটি সুতি জামা পড়িয়ে নিন। শীতের পোশাকগুলো যেন মোলায়েম হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- শিশুর ঘরে যেন সূর্যের আলো পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে সেদিকে লক্ষ্য ।
- শীতে বেশিক্ষণ যেন শিশু বাড়ির বাইরে না থাকে কিংবা খেলাধুলা না করে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
- ২ ঘন্টা পর পর শিশুর ঠোটে লিপ বাম এবং হাত পায়ে ভেসলিন ব্যবহার করুন।
- খাবারের প্রাধান্য দিন যেমনঃ পানি, সবজি, সুপ কিংবা গরম দুধকে।
এই শীতে শিশু এবং বয়স্কদের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই তাদের প্রয়োজন বেশি বেশি যত্ন এবং পরিচর্যার। শিশু কিংবা বয়স্ক প্রত্যেকেরই সঠিক যত্ন এবং পরিচর্যা পেলে সুরক্ষা থাকা নিশ্চিত। বিশেষ করে শীতে শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিন্তে প্রয়োজনীয় পরোক্ষগুলো মেনে চলা আবশ্যক।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url