বাংলাদেশের সামরিক শক্তি ও অস্ত্র ভান্ডার
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটসমরে আমরা, শান্তিতে আমরা, শান্তিতে আমরা দেশের তরে এই মূল মন্ত্রে দীক্ষিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনে যে সকল সমরাস্ত্রব্যবহার করেন তার একটি তালিকা-বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্রাস্ত্র, ক্ষেপণাস্ত্র, আর্টিলারি, সহায়ক যানবাহন, নৌযান ও আকাশ জান এর অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশের সামরিক শক্তির গুরুত্ব
বাংলায় দক্ষিণেশ্বর চতুর্থ সামরিক শক্তিধর দেশ। সামরিক শক্তিতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ৩৩ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান 18 এবং বিশ্বের ১২৬ দেশের মধ্যে ৫৩। সামরিক শক্তির ভিত্তিতে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি) নামের একটি ওয়েবসাইটে মার্কিন গোয়েন্দা দপ্তর সি আই এর প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
বিশ্বের মধ্যে 53 তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থতম সামরিক শক্তিধর হলেও ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি এবং সমতরণীতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। পরাশক্তি আমেরিকা, রাশিয়া, পূর্বের চীন এবং প্রতিবেশী ভারত সবাই এখন বাংলাদেশকে কাছে পেতে চাই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ কূটনৈতিকভাবে এই কৌশল গ্রহণ করে বাংলাদেশের সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলেছে।
তাই চীন থেকে যুদ্ধের প্রয়োজনে হিসেবে সাবমেরিন ক্রয় করেছেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনশীল কৌশলের কারণে দেশে দেশে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা এখন আর স্থায়ী কোন ইস্যু নয়। অর্থনীতি ও সমর নীতিতে মেরুকরণের প্রতিনিয়ত একের পর এক পাল্টে যাচ্ছে বন্ধুত্বের রাজনীতি। ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের পুনরের জীবন দিয়ে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর প্রকল্প ওয়ান বেল্ট ও ১ রোড কৌশলের স্থল ও নো অংশে বাংলাদেশ।
তাই চীন থেকে যুদ্ধের প্রয়োজনে হিসেবে সাবমেরিন ক্রয় করেছেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিশ্ব রাজনীতিতে পরিবর্তনশীল কৌশলের কারণে দেশে দেশে বন্ধুত্ব ও শত্রুতা এখন আর স্থায়ী কোন ইস্যু নয়। অর্থনীতি ও সমর নীতিতে মেরুকরণের প্রতিনিয়ত একের পর এক পাল্টে যাচ্ছে বন্ধুত্বের রাজনীতি। ঐতিহাসিক সিল্ক রুটের পুনরের জীবন দিয়ে ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর প্রকল্প ওয়ান বেল্ট ও ১ রোড কৌশলের স্থল ও নো অংশে বাংলাদেশ।
এছাড়াও বাংলাদেশের আর্থিক সক্ষমতা সচ্ছল থাকায় অস্ত্র বিক্রেতা দেশগুলোর নজর পড়ে... সর্বশেষ রাশিয়া থেকে আটটি বহু মাত্রিক যুদ্ধ বিমান কিনেছে বাংলাদেশ। দিন দিন বাড়ছে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সমরাস্ত্রের ভান্ডার। মূলত স্বাধীনতা পরবর্তী ৪৫ বছরের সামরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ এখন বেশ শক্তিশালী। নিজেদের এই গুরুত্ব বুঝে কৌশলে পররাষ্ট্রনীতির নিয়ে এগুচ্ছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা(বি ও এফ)
বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উৎপাদনের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান। এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটির ঢাকার অদূরে গাজীপুর জেলার চতর মোজার ৩৩০.১৪ একর জমির উপর অবস্থিত। চীনের কারিগরি সহযোগিতায় কারখানাটি ১৯৭০ সালের ৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। দেশের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর চাহিদা পূরণ করে উৎপন্ন অস্ত্র ও গোলাবারুদ রপ্তানি করণ এ প্রতিষ্ঠানের মূল কর্ম পরিধি। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা বিদ্যমান সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী জনবল 2128 জন বর্তমানে বর্ধিত কর্ম পরিধি, আর এন ডি কার্যক্রম এবং উৎপাদনে বহুমুখী অণায়নের জন্য এই জনবল বৃদ্ধির লক্ষ্যে সংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তন করার কার্যক্রম।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বের কততম
বিশ্বে ২০২৪ সালে সামরিক শক্তির বিচারে 145 টি দেশের মধ্যে ৩৭ তম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ২০২৩ সালে এ অবস্থান ছিল 40 তম। সে হিসাবে এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান আগের বছরে তুলনায় তিন ধাপ এগিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ কত নাম্বার শক্তিশালী দেশ
জনসংখ্যার দিক থেকে মিয়ানমারের তুলনায় বেশ এগিয়ে থাকলেও সামরিক দিক থেকে তালিকায় সামান্য পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্স ২০২৪ অনুযায়ী, সামরিক শক্তিতে মিয়ানমারের অবস্থান যেখানে ৩৫ ত্ সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ তম।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরঞ্জামের তালিকা
বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে ৪৬৪ টি কামান রয়েছে বলে জানিয়েছেন গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। এছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কিছু প্রয়োজনীয় সাময়িক সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলো হলঃ-
- পোশাক-পরিচ্ছদ্য এবং প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামাদি
- বেতার এবং তড়িৎ যোগাযোগ সরঞ্জামাদি
- ক্ষুদ্রাস্ত
- স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র
- মর্টাল ব্যবস্থা
- ট্যাংক বিধ্বস্তিক অস্ত্র
- ট্যাংক
- সাজুয়া যান
- বহুমুখী ক্ষেপণাস্ত্রউৎক্ষেপণ ব্যবস্থা
- আর্টিলারি রেজিমেন্ট
- আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
- রাডার ও ফায়ার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
- ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা
- আর্মি এভিয়েশন গ্রুপ
- নৌযান
- সহায়ক যানবাহন
- মোবাইল ফিল্ড বেকারি সিস্টেম
- প্রকৌশল সরঞ্জামাদি
- তথ্যসূত্র
- বহি সংযোগ
১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সামরিক শক্তি যেমন ছিল ২০২৪ সালে সেই সামরিক শক্তি এগিয়ে রয়েছে। যা যেকোনো অপশক্তির সাথে মোকাবেলা করতে বাংলাদেশ সামরিক শক্তি সব সময় প্রস্তুত। যা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম। বর্তমানে বাংলাদেশ সামরিক শক্তিতে তিন ধাপ এগিয়ে ৩৭ তম অবস্থান করছেন।
ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url