মাঙ্কি পক্স-রোগের লক্ষণ ও কারণ
এম পক্স(পূর্বে এটি মাংকি পক্স বা বাদর বসন্ত নামে পরিচিত ছিল) । বাদর বসন্ত ভাইরাস (MPXV) দ্বারা সংক্রামক রোগ যা মানুষসহ কিছু প্রাণীর মধ্যে ঘটতে পারে। জ্বর, মাথা ব্যাথা, পেশীতে ব্যথা,লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং ক্লান্ত বোধের মাধ্যমে লক্ষণ গুলি শুরু হয়।
এরপরে একটি ফুসকুড়ি হয় গঠন করে এবং কঠিন আবরণ হয়। উপসর্গের সংস্পর্শে আসার সময় প্রায় দশ দিন। এম পক্স বা বাদর বসন্ত বন্যপ্রাণের মাংস, পশুর কামড় বা আচড়, শরীরের তরল, দূষিত বস্তু বা সংক্রামিত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ থেকে সরাতে পারে। ভাইরাসটি সাধারণত আফ্রিকার নির্দিষ্ট কিছু ভিন্নদন্তি প্রাণীর বা হিংস্র পানির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাসের ডিএনএ পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যায়।
মাংকি পক্স এর প্রাথমিক লক্ষণ
মাংকি পক্স বা এম পক্স একটি সংক্রমিত রোগ। এই রোগ বন্য প্রাণের মাংস, হিংস্র পশুর কামড় বা আসর এবং দূষিত বস্তু বা সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে সরাতে পারে। মাংকি পক্স রোগের প্রাথমিক লক্ষণ এর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, পেশিতে ব্যথা, জ্বর এবং ক্লান্তি। রোগটি প্রাথমিকভাবে জল বসন্ত, হাম এবং দুটি বসন্তের মতো দেখা যেতে পারে তবে গ্রন্থিগুলির ফুলে যাওয়ার উপস্থিতি দ্বারা আলাদা করা যায়। ফুসকুড়ি শুরু হওয়ার আগে এইগুলি বৈশিষ্ট্যগতভাবে কান এবং চোয়ালের কাছে, ঘাড়ে বা উস্কিতে অবস্থান করে। জ্বরের কয়েকদিনের মধ্যে কতগুলি বৈশিষ্ট্যগতভাবে মুখের উপর অন্যত্র প্রদর্শিত হওয়ার আগে দেখা যায় যেমন হাতের তালু এবং পায়ের তলায় দেখা যায়।
মাংকি পক্স কিভাবে শুরু হয়?
প্রাথমিকভাবে " মাংকি পক্স" নামকরণ করা সত্ত্বেও, রোগের উৎস অজানা রয়ে গেছে। বিজ্ঞানীরা সন্দেহ করেন যে আফ্রিকান ইদুর এবং অমানব প্রাইমেট ( বানরের মতো ) ভাইরাস থেকে আশ্রয় করে এবং মানুষকে সংক্রামিত করতে পারে।mpox-এর প্রথম মানবিক ঘটনা ১৯৭০ সালে রেকর্ড করা হয়েছিল যা এখন পঙ্গু গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র।
মাংকি পক্স কতদিন থাকে?
Mpox লক্ষণ ও উপসর্গ সৃষ্টি করে যা সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয় কিন্তু এক্সপোজারের এক থেকে ২১ দিন পরে শুরু হতে পারে। লক্ষণগুলি সাধারণত ২-৪ সপ্তাহ স্থায়ী হয় তবে দুর্বল সিস্টেমের সাথে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
মাংকি পক্স কাদের বেশি হয়?
যাদের একাধিক বা নতুন যৌন সঙ্গী আছে তারা বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সমকামী। উভকামী এবং অন্যান্য পুরুষদের জড়িত সম্প্রদায় যারা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করে তাদের সচেতনতা বাড়াতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের রক্ষা করা অপরিহার্য। আপনি যদি এমন একজন পুরুষ হন যিনি অন্য পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক করেন, আপনার ঝুঁকি জানুন এবং নিজেকে এবং অন্যদের রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিন।
মাংকি পক্স কি বানরের কারনে হয়?
এটি একটি সংক্রামিত রোগ। মাংকি পক্স কাঠবিড়ালি, গাম্বিয়ান ইঁদুর, ডরমাইচ, বিভিন্ন প্রজাতির বানর এবং অন্যান্য প্রাণীদের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই বলা যায়, এটি শুধু বানরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় হিংস্র প্রজাতির প্রাণীদের মধ্যেও এর সংক্রমও রয়েছে।
মাঙ্কি পক্স হলে করণীয়
মাংকি পক্স আসলে দুই ধরনের। একটি হল "কঙ্গো" ভ্যারাইটিজ এবং অপরটি হল " ওয়েস্ট আফ্রিকান" ভ্যারাইটিজ। তবে এর মধ্যে যে ভ্যারাইটিসটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে সেটি হল ওয়েস্ট আফ্রিকান ভ্যারাইটিজ। এই দুই ধরনের ভ্যারাইটিজ এর মধ্যে কঙ্গো ভ্যারাইটিস হলো সবচেয়ে মারাত্মক এবং ওয়েস্ট আফ্রিকান ভ্যারাইটিজ হল নিম্ন আক্রমত্বক ভ্যারাইটিজ। । ওয়েস্ট আফ্রিকান ভ্যারাইটিজ mpxv হলো নিম্ন মারাত্মক কারণ এতে মৃত্যুর হার কম কিন্তু কঙ্গো ভ্যারাইটিস এটিতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি।
যদি আপনি মাঙ্কি পক্ষে আক্রান্ত কারো সংস্পর্শে এসে থাকেন, তাহলে আপনার শেষ এক্স প্রজারের ২১ দিন পর আপনার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে থার্মোমিটার দিয়ে দিনে দুবার( সকাল ও রাত) আপনার তাপমাত্রা নেওয়া এবং আপনার মাংকি পক্সের কোন লক্ষণ বা উপসর্গ আছে কিনা তা পরীক্ষা করা উচিত। এছাড়া এ রোগে সংক্রমিত হয়েছে এমন লোকের সংস্পর্শে না যাওয়া এবং তার কোন কিছু ব্যবহার না করা। মাংকি পক্স যেহেতু সংক্রমিত রোগ তাই সবচেয়ে বেশি নিজেকে সতর্কিত রাখা।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
রোগ যত কঠিনই হোক না কেন কোন না কোন ভাবে এর প্রতিকার ঠিকই আছে। প্রয়োজন শুধু একটু সতর্কতার। সতর্কতার সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া হল সবচেয়ে ভালো প্রক্রিয়া। যেহেতু মাঙ্কি পক্স একটি ভাইরাসজনিত সংক্রমিত রোগ সুতরাং ডাক্তারের সাথে পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে সতর্ক অবস্থানে রাখা হলো বুদ্ধিমানের কাজ। শুধু মাংকি পক্সই নয় যত কঠিনই রোগী হোক না কেন সতর্ক তাই হল সর্ববৃহৎ এবং সর্বোত্তম ওষুধ।
ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url