ত্বক মসৃণ ও ফর্সা করার সহজ উপায়

নাটোর,লালপুরের গ্রীন ভ্যালি পার্ক আমরা সবাই মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক চাই কিন্তু হরমোন, দূষণ, কাজের চাপ, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন সহ নানা কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যায়।
ত্বক মসৃণ ও ফর্সা করার সহজ উপায়

ভারতের বিখ্যাত ফ্যাশন ও জীবনধারা বিষয়ক সাময়িকী সেমিনার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জীবন যাপনে কিছুটা পরিবর্তন আনলে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আনা সম্ভব। আসুন আমরা কয়েকটি উপায় সম্পর্কে জেনে নেই-

ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করার কয়েকটি উপায়

  • দিনে অন্তত দুবার মুখমন্ডল পরিষ্কার করা
  • বাজার জাত হালকা প্রসাধন ব্যবহার করা
  • ত্বকে মশ্চারাইজার ব্যবহার করা
  • পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমানো
  • ভালো মানের মেকআপ ব্যবহার করা
  • ঘন ঘন মুখে হাত না দেওয়া
  • নিজেকে শান্ত রাখা
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া ( যে খাবারগুলো ত্বকের জন্য উপকারী )
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার

ত্বক ফর্সা করার পাঁচটি উপায়

জন্মগতভাবে আমরা একেক জন একেক ধরনের গায়ের রং পাই। কেউবা ফর্সা আবার কেউবা শ্যামলা। তবে সকলেরই মনে একটাই আকাঙ্ক্ষা আরেকটু উজ্জ্বল ত্বক হলে মন্দ হয় না। তাই ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে তখন নানা রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু সেসব ক্রিম ক্যামিকেল যুক্ত হওয়ার কারণে তা ত্বকের জন্য সব সময় উপকারী নাও হতে পারে। তাই ত্বক পেতে মেনে চলতে পারেন নিজেরই উপায় গুলো-

পেঁপে ও ডিমের পেস্ট

পেঁপে আর ডিমের পেস্ট একসঙ্গে ব্যবহার করলে ত্বকের রং আস্তে আস্তে ফর্সা ও হালকা হবে। তার সঙ্গে আ আসবে সুন্দর একটা উজ্জ্বল ভাব। ডিমের প্রোটিন ত্বককে টানটান রাখে এর সঙ্গে দুই যখন যোগ হবে তখন তা আপনার স্কিনকে ভেতর থেকে পরিষ্কার করবে।
প্রস্তুতকরণঃ তিন চামচ পেঁপের রস, দুই চামচ দই, চার চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার, তিন চামচ আমন্ড অয়েল, গ্লিসারিন ও একটি ডিমের সাদা অংশ নিন। এরপর গ্লিসারিন আর ডিম ছাড়া বাকি সব কটি উপকরণ একটি পাত্রে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার একটা ঘন পেস্ট এর মত তৈরি করুন এবং তা ফ্রিজে দুই ঘন্টার জন্য রেখে দিন। তারপর গ্লিসারিন ও ডিমের সাদা অংশ ভালো করে মেশান। এবার পেস্টটি মুখে মাখুন এবং ২০ থেকে ২৫ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

বেসন আর লেবুর রসের পেস্ট

ভীষণ আর লেবুর রসের প্যাক ত্বকের জন্য বেশ উপকারী। আর এর পাশাপাশি লেবু খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করে। কারণ লেবুতে থাকে সাইট্রিক এসিড যা ত্বকের দাগ দূর করতে সাহায্য ক...

প্রস্তুতকরণঃ তিন চামচ বেসন, দুই চামচ লেবুর রস, এক চামচ হলুদ গুঁড়া ও সামান্য গোলাপজল নিন। সবকটি উপকরণ ভালোভাবে একটি পাত্রে মিশিয়ে মিশ্রণটির মুখে মেখে তার শুকাতে দিন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটা যদি আপনি সপ্তাহে দুদিন ব্যবহার করতে পারেন তাহলে হলুদ আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা বাড়াবে আর এর এন্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান কোনরকম দাগ হতে দেবে না।

মধু লেবুর রসের পেস্ট

লেবুর রস মুখ পরিষ্কার করে সেটা তো আমরা সবাই জানি। সঙ্গে মধু খুব সুন্দর ভাবে মুখের মশ্চারাইজার ধরে রাখে। তাই এই প্যাকটি ত্বকের জন্য খুবই কার্যকর।

প্রস্তুতকরণঃ দুই চামচ মধু ও দুই চামচ লেবুর রস নিয়ে একটি পাত্রে ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মাখতে হবে। তারপর বিশ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করলে এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

দুধ আর লেবুর রসের পেস্ট

দুধ আর লেবুর রসের পেস্টে দুধ ত্বকের জন্য যে কত ভালো তা আমরা সকলেই জানি। এটি তত্ত্বের পরিষ্কার এবং নরম রাখে।

প্রস্তুতকরণঃ তিন চামচ দুধ, দুই চামচ লেবুর রস এক চামচ মধু ও হলুদ গুঁড়া নিয়ে একটি পাত্রে দুধ নিয়ে তাতে বাকি সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্টটি মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষণ পর তাগো হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিলে সঙ্গে সঙ্গে মুখে একটা উজ্জ্বলতা দেখতে পাবেন।

টমেটো ও মধুর পেস্ট

মুখে যদি রোদে থেকে হওয়া পুরা দাগ থাকে বা মুখ অতিরিক্ত কালো হতে শুরু করে তাহলে এই পেজটি ব্যবহার করতে হবে। কারণ টমেটা এই দাগ খুব ভালোভাবে হালকা করতে পারে।

প্রস্তুতকরণঃ একটু টমেটো ও চার চামচ মধু নিয়ে একটি পাত্রে আগে টমেটো চটকে নিয়ে তার মধ্যে মধু মিশিয়ে ভালো করে মিশিয়ে পেট্টি মুখে ২০ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। তারপর গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিলে সঙ্গে সঙ্গে তরতাজা লাগবে।

ত্বক উজ্জ্বল করার ঘরোয়া উপায়

খুব কম সময়ে উজ্জ্বল ত্বক পেতে চাইলে মধুর কোন বিকল্প নেই। মধু সরাসরি মুখে লাগাতে পারেন। কিন্তু ফল বেশি ফলাফল পেতে হলে মধুর সঙ্গে দুধ, দুই, কলা,পেপে, লেবুর রস এসবের যেকোনো কিছু মিশিয়ে লাগাতে পারেন। অল্প সময় ত্বক উজ্জ্বল করতে বলার কোন বিকল্প নেই। তার সাথে যদি দুধকে কাজে লাগানো হয় তাহলে তো কোন কথাই নেই।

মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক উপাদান

রাসায়নিক পণ্যের চাইতে ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান বেশ কার্যকরী। দূষণ ও অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে ত্বক মলিন ও নির্জীব হয়ে পড়ে। প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের কমল ও মসৃণ ভাব ফিরে আনা সম্ভব। প্রাকৃতিকভাবে মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার কয়েকটি উপকরণ হলোঃ-
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
  • লেবুর রস
  • ডিমের সাদা অংশ
  • টমেটো
  • মধু
  • টি ট্রি অয়েল
  • অ্যালোভেরা
  • শসা
  • পেঁপে
  • হলুদ গুঁড়া
উপরোক্ত উপকরণ নিয়ে আমাদের আর্টিকেলের উপরে আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা দেখে নিতে পারেন।

তোকে উজ্জ্বল ও মসৃণ পড়তে রাসায়নিক উপাদান

ত্বকের পরিচয় নানান উপাদান ব্যবহার করা হয়। তবে কিছু তো বান্ধব রাসায়নিক উপাদান আছে যা একপ্রকার এসিড। তবে সেগুলো ক্ষতিকর নয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, বয়সের ছাপ হ্রাস, ব্রণের সমস্যা কমানো সহ বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা দূর করতে এ ধরনের এসিড উপকারী। যেমন-

রেটিনলঃ এটা ভিটামিন এ থেকে উৎপাদিত জাতক পরিষ্কার রাখতে, দাগ কমাতে ও বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। রেটিনল বয়সের সাপ ও প্রদাহ কমাতে খুব ভালো কাজ করে।

হাইলুর নিক এসিডঃ ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে এর তুলনা নেই। ত্বক মসৃণ ও দীর্ঘক্ষণ সত্য এটা ভাল কাজ করে। ২০২০ সালের টক বিশেষজ্ঞরা এই এসিড ব্যবহারের উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছন। তাই যে কেউ ত্বকের যত্ন নিতে হাইলুর নিক এসিড নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন।

ল্যাকটিক অ্যাসিডঃ মৃদু রাসায়নিক পিল ও এক্সফলিয়েটর হিসেবে ল্যাক্তিক অ্যাসিড সামনের সারিতে।" হাইপার পিকমেন্টশন" ব্রনের দাগ ছোপ ও মলিন ত্বক ও রঙের ভারসাম্যহীনতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

গ্লাইকোলিক এসিডঃ এটা একটা জাদুকরী উপাদান। এটা ব্রণ ও ব্ল্যাক-হেডসের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। গ্লাইকোল এসিড সহজেই ত্বককে সুন্দর রাখতে ভূমিকা রাখে। ত্বকের লোম কূপ সংকুচিত করে তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে।

নায়াসিনামাইঃ সবচেয়ে বেশি উপকারী ও বহুল ব্যবহৃত উপাদান হলো নায়াসিনামাইড। এটা ভিটামিন বি-৩ হিসেবে পরিচিত, যার ত্বকের মলিনতা দূর করে বয়সের ছাপ কমায় ও ত্বক সুরক্ষিত রাখতে সহায়তা করে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url