স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো
স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবো
স্মার্ট কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করার জন্য ডিজিট করুন ডাউনলোড অপশনে। এখানে ফর্ম নাম্বার এবং এনআইডি নাম্বার দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করুন। মোবাইল ও ফেস ভেরিফিকেশন শেষে লগইন করে স্মার্ট কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।
আপনি যদি নতুন ভোটার নিবন্ধন করে থাকেন, অনলাইন থেকে নিজেই ফর্ম বা স্লিপ নাম্বার অথবা এন আই ডি নাম্বার দিয়ে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন। এই ব্লগে দেখে নিন কিভাবে এন আই ডি কার্ড বা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করবেন তার প্রক্রিয়া।
স্মার্ট আইডি কার্ড যেভাবে পাবেন
পুরাতন ভোটাররা তাদের 10 আঙ্গুলের সাপ ও চোখে রেটিনা স্ক্যানের বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে স্মার্ট কার্ড পেতে পারে। আপনার যদি লেমেনেটিং জাতীয় পরিচয় পত্র থেকে থাকে তাহলে দেখুন স্মার্ট কার্ড কিভাবে পাবেন এবং কখন পাবেন। সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও স্মার্ট জাতীয় কার্ড বা স্মার্ট জাতীয় পরিচয় পত্র চালু হয়েছে।
২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সকল নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। সিমের মত মাইক্রো চিপ বিশিষ্ট স্মার্ট আইডি কার্ড ব্যক্তি সম্পর্কে ৩২ টি বায়োমেট্রিক্স ও সনাক্তকারী তথ্য সংগ্রহ করে। স্মার্ট কার্ড ব্যবহারের ফলে নাগরিক সেবা অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়েছে। স্মার্ট কার্ডে মাইক্রো চিপ থাকার ফলে প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিমিষে সকল তথ্য বের করা যায়।
স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরি হলে তা সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে স্থানান্তর করা হয়। উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। গ্রামে বা এলাকাভিত্তিক স্মার্ট কার্ড বিতরণ ক্যাম্পেইন করে গ্রাহকের কাছে স্মার্ট আইডি কার্ড প্রদান করা হয়। 2019 সালের আগে ভোটার আইডি কার্ড পেতে হলে পুনরায় বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে স্মার্ট কার্ড পেতে পারেন।
যারা ২০১৯ সালের আগে ভোটার নিবন্ধন করেছেন তাদের সবাই প্রিন্টেড লেমিনেটিং করা আইডি কার্ড পেলেও অনেকে স্মার্ট আইডি কার্ড পাননি। প্রথম দিকের নরমাল আইডি কার্ডের শুধু দুই আঙ্গুলের ছাপ ছবি ও স্বাক্ষর ছিল। যেহেতু স্মার্ট কার্ডে ১০ আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্ট, চোখের রেটিনা, ডিজিটাল সাইন, এবং থাম প্রিন্ট সংগ্রহ করা হয় তাই আপনার নরমাল আইডি কার্ড থেকে স্মার্ট আইডি কার্ড পেতে হলে এসব বায়োমেট্রিক ডাটা আবার প্রদান করতে হবে।
এনআইডি কার্ড ডাউনলোড
শুধুমাত্র আপনার ভোটার স্লিপ নাম্বার/এন আইডি নাম্বার ও মোবাইল নাম্বার দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। তার আগে জেনে নিন জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করতে কি কি প্রয়োজন হবে? ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে প্রয়োজন হবে ভোটার রেজিস্ট্রেশন ফর্ম নাম্বার, জন্ম তারিখ, ঠিকানা এবং ফেস ভেরিফিকেশন। নতুন অনলাইনে এনআইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। আর পুরাতন ভোটাররা জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে অনলাইনে নির্বাচন কমিশনার অফিসে আবেদন করতে হবে।
ভোটার আইডি কার্ড দেখার জন্য বা ডাউনলোড করার জন্য যা যা প্রয়োজন হবে
নিজের ভোটার আইডি কার্ড দেখার জন্য বা ডাউনলোড করার জন্য আপনার যা প্রয়োজন হবে-
- ভোটার নিবন্ধন ফরমের স্লিপ নাম্বার অথবা এন আই ডি নাম্বার
- জন্ম তারিখ
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা(বিভাগ, জেলা, উপজেলা)
- ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একটি মোবাইল
- একটি সচল মোবাইল নাম্বার(OTP ভেরিফিকেশন এর জন্য)
এনআইডি কার্ড চেক
এসএমএসের মাধ্যমে স্মার্ট এন আই ডি স্ট্যাটাস চেক। স্মার্ট এনআইডি কার্ড স্ট্যাটাস চেক করার জন্য মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে লিখুনSC NID NID-No। তারপর মেসেজটি সেন্ড করুন ১০৫ নাম্বারে। ফিরতি মেসেজ এ আপনার এনআইডি নাম্বার ও স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস জানিয়ে দেয়া হবে।
স্মার্ট কার্ড হয়েছে কিনা চেক করব কিভাবে
এনআইডি নাম্বার দিয়ে স্মার্ট কার্ড স্ট্যাটাস চেক করার জন্য মোবাইলে মেসেজে পাঠানোর স্থানে লিখুন SC <space> NID <space> এনআইডি নাম্বার তারপর এটি ১০৫ এই নাম্বারে পাঠিয়ে দিতে হবে। এখান.৮৮১২৩৪৫৬৭৮ হল ১০ জাতীয় পরিচয় পত্র নাম্বার। আপনি চাইলে ১৩ সংখ্যার এন আই ডি নাম্বার কিংবা ১৭ সংখ্যার পুরাতন আইডি কার্ডের নাম্বার দিতে পারবেন।
স্মার্ট কার্ড দিয়ে কি কি করা যায়
আয়কর দাতা সনাক্তকরণ নম্বর পাওয়া, । শিয়ার আবেদন ও বিয়ো হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স করা ও নবায়ন, ট্রেড লাইসেন্স করা, পাসপোর্ট করা ও নবায়ন, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন করা, চাকরির আবেদন করা, বীমা স্ক্রিমে অংশগ্রহণ করা, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় ও বিক্রয় করা, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, নির্বাচনে ভোটার সনাক্তকরণ, ব্যাংক ঋ্ণ, গ্যাস পানি বিদ্যুতের সংযোগ, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোল্ণ, টেলিফোন ও মোবাইলের সংযোণ, সরকারই ভর্তুকি, সাহায্য ও সহায়তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আসামি ও অপরাধী সনাক্তকরণ, বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নম্বর পাওয়া ও সিকিউট ওয়েব লগইন করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর লাগবে। তবে আইনগতভাবে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর এখনো বাধ্যতামূলক করা হয়নি।
স্মার্ট কার্ড নিতে কত টাকা লাগে
স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে যে কোন তথ্য পরিবহন করতে হলে প্রথমবার আবেদনের সময় ২৩০ টাকা, দ্বিতীয়বার ৩৪৫ টাকা, এবং তারপর থেকে প্রতিবার আবেদনের জন্য ৫৭৫ টাকা করে জমা দিতে হবে।
স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করতে কি কি লাগে
স্মার্ট আইডি কার্ডের জন্য আবেদন জমা দেওয়ার সময় যে ফর্ম নম্বর বা ভোটার স্লিপ দেয়া হয় তা স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ করার সময় সাথে করে নিয়ে যেতে হবে।
স্মার্ট আইডি কার্ড
স্মার্ট আইডি কার্ড হল কম্পিউটার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে(যেমন মোবাইল ফোন) নিরাপত্তা সংক্রান্ত কাজে ব্যবহৃত কার্ড আকৃতির জিনিস যার মধ্যে সমন্বিত বর্তনী বা Intergrates Circuit রয়েছে। স্মার্ট কার্ড হলো এক ধরনের ইলেকট্রনিক কার্ড যেখানে একটি মাইক্রো চিপ বা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট থাকে। এই মাইক্রো চিপএ তথ্য সংরক্ষিত থাকে এবং প্রক্রিয়া করা যায় যাতে স্মার্ট কার্ডধারীর প্রমাণিকরণ, আইডেন্টিটি প্রুফ, অনুমোদন, পূর্বনির্ধারিত গুণমান এবং সম্পর্কের লেনদেন করা যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url