আলু চাষের পদ্ধতি-আলু চাষে যেভাবে লাভবান হবেন

 কিভাবে উইন্ডোজের যাওয়া একটি ইউএসবি তৈরি করবেনআলো আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। ধান ও গমের পরে আলোয় স্থান। আলু চাষে সফলতা পেতে হলে অবশ্যই জমি তৈরি থেকে শুরু করে সংরক্ষণ পর্যন্ত জানতে হবে। আলু চাষে শেষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

আলু চাষের পদ্ধতি-আলু চাষে যেভাবে লাভবান হবেন


রোপনের সময় জমির অবস্থা জো অবস্থা থাকতে হয় ও রোপনের পর একটি থেকে দুটি গাছ যখন মাটির উপরে উঠে আসে তখন প্রথমবার সার উপরে প্রয়োগের পর একটি হালকা শেষ দিতে হয়। এটি সাধারণত রোপনের সাত দিনের মধ্যে দিতে হয়। এরপর মাটির প্রকার ও প্রয়োজন অনুযায়ী তিন থেকে পাঁচবার সেচ দিতে হয়।

ভূমিকা

আলুর ইংরেজি নাম Potato কথাটি এসেছে স্প্যানিশ শব্দ 'Petata' থেকে। বাংলাদেশ ও ভারতে এই শব্দটি আলো নামে প্রসিদ্ধ। একটি প্রধানত Roots And Tubers জাতীয় খাদ্য। বৈজ্ঞানিক সোলানাসিয়া (solanaceae) পরিবারের সপুষ্পক উদ্ভিদ। কোন কোন কৃষি বিজ্ঞানী বলেন মোট ৪ হাজার ধরনের আলুর চাষ হয়ে থাকে।

যেভাবে আধুনিকভাবে আলু চাষ করবেন

আলু আমাদের দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফসল। সাধারণত ধান এবং গমের পরে আলুর স্থান। বর্তমান চাষের জমির পরিমাণ ও ফলনের হিসেবে ধানের পরই আলুর স্থান। একেক সময় একেক জমিতে সর্বাধিক উৎপাদনের কারণে দিন দিন আলু চাষে জমির পরিমাণ এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ আলু চাষে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। জেনে নিন আলু উৎপাদনের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে।

মাটির নির্বাচনঃ যে কোন মাটিতে আলু চাষ করা যায় তবে বেলে দোআঁশ থেকে দোআঁশ মাটি আলু চাষের জন্য উত্তম। উঁচু থেকে মাঝারি উচু জমি যেখানে শেষ ও নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা আছে সে সকল জমি নির্বাচন করতে হবে। মাটিতে জো আসার পর আড়াড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝড়ঝড়ে করে প্রস্তুত করতে হবে। 

এবং অবশ্যই জমিটি রৌদ্র উজ্জ্বল হতে হবে।আড়াআড়িভাবে কমপক্ষে চারটি চাষ দিতে হবে যেন জমিতে বড় মাটির ঢোলা না থাকে এবং মাটি ঝুরঝুরা অবস্থায় আসে। কারন বড় মাটির ঢোলা আলুর সঠিক বৃদ্ধিতে বাধাগ্রস্থ করে এবং অনেক সময় আলুর অসম ও বিকৃত আকার ধারন করে।জমি তৈরির সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে জমিতে সুষম সেচ প্রোয়গ করা যায়।সে জন্ন্য জমির উপরিভাগ সমতল হতে হবে।

জাত পরিচিতঃ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট আলুর মোট ৮৩ টি জাত নির্বাচন করেছে যার মধ্যে খাবার আলু , প্রক্রিয়াজাতকরণের উপযোগী আলু , রপ্তানিযোগ্য আলু , আগাম আলু ও সাধারন তাপমাত্রায় সংরক্ষন করা যায় এমন আলুর জাত আছে। খাবার আলুর জন্ন্য ডায়মন্ট , কার্ডিনাল ( ফলনঃ২৫-৩৫ টন , প্রতি হেক্টর ) আগাম জাত হিসেবে গ্রানোলা , বারি আলু-৭৪,৭৫ ( ফলনঃ ২০-৪০ টন , প্রতি হেক্টর )।

বারি আলু-৪৬ (২০-৩০ টন, প্রতি হেক্টর) প্রক্রিয়াজাতকরন উপযোগী এস্টেরিক্স,লেডি রোসেটা,কারেজ,মেরিডিয়ান ( ফলনঃ২০-৩৫ টন,প্রত হেক্টর ) মড়ক রোগ প্রতিরোধি বারি আলু-৪৬,৫৩,৭৭, এ্যালোটি, ক্যারোলাস ( ফলনঃ ৩০-৪০ টন,প্রতি হেক্টর ) দীর্ঘ সময় দেশীয় পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা যায় আইলসা, প্রভেন্টো,বারি আলু-৬৩,৭৬ ( ফলনঃ ৩০-৪০ টন,প্রত হেক্টর) ।

যে সব বিষয়ে সচেতন হলে আলু চাষে লাভবান হবেন 

দেশের বিভিন্ন স্থানের মাটির উর্বরতা বিভিন্ন রকমের। কোথাও উর্বর, কোথাও বেলে, কোথাও দোআঁশ, আবার কোথাও উঁচু নিচু সমতল ভূমি। আলু চাষে লাভবান হওয়ার জন্য বীজ আলু শোধন, রোপন পদ্ধতি, সার ব্যবস্থাপনা, সেচ ব্যবস্থাপনা, আন্ত পরিচর্যা ইত্যাদি বিষয়ে নজর রাখা জরুরী।

আলু চাষের জন্য বীজ আলু শোধন

কোল্ড স্টোরেজ থেকে বীজ আলু বের করার ৪৮ ঘন্টা প্রি হিটিং কক্ষে রাখতে হবে। বীজ আলু বাড়িতে আনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বস্তা খুলে ছড়িয়ে আবার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য স্বাভাবিকভাবে বাতাস চলাচল করে এমন ছায়াযুক্ত স্থানে রাখতে হবে। কারণ বীজ কোল্ড স্টোরেজ থেকে বের করে বস্তা বন্ধ অবস্থায় রাখলে ঘেমে পৌঁছে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কোল্ড স্টোরেজে রাখার আগে বীজ শোধন না হয়ে থাকলে অংকুর গজানোর আগে বীজ আলো দাদ বা স্ক্যাব এবং বস্ন্যাক স্কার্ফ রোগ প্রতিরোধের জন্য ৩% বরিক এসিড দিয়ে শোধন করে নিতে হয়। এজন্য এক লিটার পানিতে ৩০ গ্রাম হারে বরিক এসিড মিশিয়ে বীজ আলু ১০-১৫ মিনিট চুবিয়ে পরে ছায়ায় শুকাতে হবে। পলিথিন সিটের উপর আলো ছড়িয়ে স্প্রে করেও কাজটি করা যায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন আলুর সব অংশ ভিজে যায়। সাধারণত বিঘা প্রতি অর্থাৎ ৩৩ শতকে ২শ থেকে ২শ ১০ কেজি বীজ আলু প্রয়োজন হয়।

বীজ আলু রোপন পদ্ধতি

উত্তর অঞ্চলে মধ্যকার্তিক ও দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়নের প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে আলুর রোপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। আত্ম আলোর ওপরের জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব দিতে হবে ৬০ সেন্টিমিটার এবং আলু থেকে আলুর দূরত্ব দিতে হবে ২৫ সেন্টিমিটার। আর কাঁটা আলু রোপনের ক্ষেত্রে সারি থেকে সারির দূরত্ব দিতে হবে ৪৫ সেন্টিমিটার এবং আলু থেকে আলুর দূরত্ব দিতে হবে ১৫ সেন্টিমিটার।

চাষকৃত জমিতে সারের পরিমাণ

ভালো ফলনের জন্য আলুর জমিতে সঠিক মাত্রায় ও তো সঠিক সময়ে জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। আলুর জমিতে একর প্রতি ৪ টন গোবর,১০০ কেজি ইউরিয়া,৬০ কেজি টি এস পি, ১০০ কেজি এমওপি, ৪৮ কেজি জিপসাম, ৪ কেজি জিং সালফেট এবং অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৪০ কেজি ম্যাগনেসিয়াম ও বেলে মাটির জন্য একর প্রতি ৪ কেজি বোরণ প্রয়োগ করলে ভালো ফলন পাওয়া যাবে।

জমিতে সার প্রয়োগ পদ্ধতি

সাধারণ কৃষকের জন্য আলো চাষে উক্ত সার ব্যবহার করা প্রয়োজন। জমিতে যদি সবুজ সার প্রয়োগ করা হয় তাহলে গোবরের প্রয়োজন নেই। গোবর, অর্ধেক ইউরিইয়া, টিএসপি, এম ওপি, জিপসাম ও জিম সালফেট আলুর ওপরের আগে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ৩০-৩৫ দিন পর যখন আলুর নালা তৈরি করে মাটি তোলার সময় দিতে হবে।

জমিতে সেচ ব্যবস্থাপনা

প্রয়োজনীয় সময় গাছে কৃত্রিম উপায়ে সেচের মাধ্যমে পানি সরবরাহ এবং অতি বৃষ্টি বা অন্যান্য কারণে গাছের গোড়া থেকে পানি অপসারণের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরী। অর্থাৎ পানি ব্যবস্থাপনা বলতে সেচ ও নিষ্কাশন উভয়কেই বোঝায়। ফল গাছের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানির অপর নাম জীবন কথাটি সকল জীবের ন্যায় গাছের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।


 পানির অভাবে গাছের বৃদ্ধি ও ফলন ব্যাহত হয় এমনকি মৃত্যুর ঘটতে পারে। বীজ রোপনের পর জমিতে ভালো রস না থাকলে সেচ দেওয়া উত্তম তবে খেয়াল রাখতে হবে খেতে কোন ভাবেই পানি না দাঁড়ায়। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পানিতে ভেলের ২/৩ অংশ পর্যন্ত পানিতে ডুবে যায়। ২-৩ টি সেচ করা প্রয়োজন হতে পারে ( ২০-২৫ দিনের মধ্যে স্টলোন বের হওয়ার সময়,৪০-৪৫ দিনের মধ্যে গুটি বের হওয়া পর্যন্ত এবং পরে আলু বৃদ্ধির সময় )। 

জমি থেকে আলু উঠানোর ৭-১০ দিন আগে মাটি ভেদে শেষ প্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। উল্লেখ্য যে দাদ রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য আলুর ওপরের পর ৩০-৫০ দিনের সময়ে জমিতে কোন অবস্থায় রসের ঘাটতি এবং ৬০-৬৫ দিনের পর রসের আধিক্য হতে দেওয়া যাবে না। এছাড়া আলু জমি সব সময় আগাছা মুক্ত রাখা উচিত। আলু লাগানোর ৩০-৩৫ দিনের মধ্যে আগাছা পরিষ্কার করে দুই সারির মধ্যবর্তী স্থান কুপিয়ে উপরি হার প্রয়োগ করতে হবে। 

সার মিশ্রিত মাটি গাছের গোড়ায় তুলে দিতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে কোপানোর সময় যাতে আলুর শিকড় না কাটে। মাটি দেওয়ার সময় গাছের পাতা মাটিচাপা না পড়ে। ৫৫ থেকে ৬০ দিন পর প্রয়োজন হলে পুনরায় আগাছা পরিষ্কার করে মাটি তুলে দিতে হবে।

রোগবালায় ও পোকা দমন

আলুর রোগ: আলুর রোগ সমূহের মধ্যে মড়ক রোগ, ব্যাকটেরিয়াজনিত ঢলে পড়া রোগ, দাঁদ রোগ, কান্ড-পচা রোগ, ভাইরাস জনিত রোগ অন্যতম। নিম্ন তাপমাত্রা, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়া ও মেঘলা আকাশ আলুর জন্য ক্ষতিকর। এতে আলুর মড়ক রোগ আক্রমণ বেশি দেখা যায়। আলু ফসল কে এ অবস্থা থেকে রক্ষা করার জন্য স্পর্শক জাতীয় ছত্রাকনাশক নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হবে।

কাটুই পোকাঃ এ প্রকার কিরা আলুর প্রধান ক্ষতিকর পোকা। এরা কাজ কেটে দেয় এবং আলু আক্রমণ করে। খুব সকালে যে সব গাছ কাটা পাওয়া যায় সেগুলোর গোড়ার মাটি সরিয়ে পোকার কিরা বের করে মারতে হবে। আক্রমণ তীব্র হলে কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শে কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

জাব পোকাঃ জাব পোকা গাছের রস খায় এবং ভাইরাস রোগ ছড়ায়। বীজ আলু উৎপাদনের ক্ষেত্রে জাব পোকা দমন অত্যন্ত জরুরি। এজন্য গাছের পাতা গজানোর পর থেকে ৭-১০ দিন পর পর জাব পোকা দমনের জন্য অনুমোদিত কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে। জাব পোকার আক্রমণ এড়াতে ৭০-৮০ দিনের মধ্যেই সংগ্রহ করা উত্তম।

আলুর কান্ড পচা রোগঃ ছত্রাক জনিত এ রোগের আক্রমণে  বাদামি দাগ কাণ্ডের গোড়া খেয়ে ফেলে। গাছ ডলে পরে এবং নিচের পাতা হলদে হয়ে যায়। আক্রান্ত অংশে বা আশেপাশের মাটিতে ছত্রাকের সাদা সাদা জালিকা দেখা যায়। আলুর  গা থেকে পানি বের হয়গা থেকে পানি বের হয় এবং পচন ধরে আলু নস্ট হয়ে যায়। 

ফসল সংগ্রহ এবং পরিচর্যা

আধুনিক জাপে পরিপক্কতা আসতে ৮৫ থেকে ৯০ দিন সময় লাগে। তবে বীজ আলুতে সংগ্রহের অন্তত দশ দিন আগে শেষ দেওয়া বন্ধ করতে হবে।

হাম পুলিংঃ মাটির উপরে গাছের সম্পূর্ণ অংশকে উপড়ে ফেলাকে হাম পুলিং বলে। আলু সংগ্রহের ৭ থেকে ১০ দিন পূর্বে হাম পুলিং করতে হবে। এতে সম্পূর্ণ শিকড়সহ গাছ উপরে আসবে কিন্তু আলু মাটির নিচে থেকে যাবে। হাম পুলিং এর ফলে আলুর ত্বক শক্ত হয়, রোগাক্রান্ত গাছ থেকে রোগ বিস্তার কম হয় ও আলুর সংরক্ষণ গুন বৃদ্ধি পায়। বীজ আলুতে অবশ্যই হাম পুলিং করতে হবে তবে খাবার আলোর বেলায় হাম পুলিং জরুরী নয়।

আলু উত্তোলনঃ আলু উত্তোলনের পর পরে বাড়িতে নিয়ে আসা উত্তম। আলু তোলার পর কোন অবস্থাতেই খেতে ইস্তুপ আকারে রাখা যাবেনা। কারন খেতে আলু খোলা রাখলে তা বিভিন্ন প্রকার রোগ ও পোকা দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে।

আলু সংরক্ষণঃ আলু উত্তোলনের পর বাড়িতে এনে সাথে সাথে কাটা, দাগী ও পচা আলু আলাদা করে বেঁচে ফেলতে হবে তারপর সাত থেকে দশ দিন মেঝেতে আলু বিছিয়ে রাখতে হবে। অতঃপর আবারও দাগি ও পচা আলু বেছে বাদ দিয়ে ভালো আলু বস্তায় ভরে হিমাগারে পাঠাতে হবে।

শেষ কথা

বাংলাদেশের সব অঞ্চলে কম বেশি আলুর চাষ করা হয়। তাই আলু চাষে লাভবান হতে হলে আলু চাষ করার আগে অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে আলু সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। এছাড়া চাষ সংক্রান্ত কোনো তথ্য জানতে হলে স্থায়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তা অথবা উপজেলা কৃষি অফিসের যোগাযোগ করা যেতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে। এসব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্ধারিত ফি এর মাধ্যমে কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url