বিভিন্ন জাতের আমের নাম

বিভিন্ন জাতের আমের নাম

আমের প্রায় কয়েকশো জাত রয়েছে। যেমনঃ ফজলি, ল্যাংড়া, গোপাল ভোগ, খিরসা পাত,অরুণা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্ণরেখা, মিস্রিদানা, নীলাম্বরী, কালী ভোগ, কাঁচা মিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপুরী, কারাবাও,কেঊই সাউই, গোপাল খাঁস, কেন্ট, সূর্যপুরী, পাহুতান, ত্রিফলা, হাড়িভাংগা, ছাতাপড়া, গুঠলি, লখনা, আদাইরা, কলাবতি,আম রুপালি ইত্যাদি।
বিভিন্ন জাতের আমের নাম


আম ফল সারা পৃথিবীতে জনপ্রিয় এত পছন্দনীয় ফল পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নেই। এমন কোন জাতি নেই যারা আম ফল পছন্দ করেনা। তাই একে সম্মান দিয়ে ফলের রাজা বলা হয়। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম আছে । ৫,০০০ বছর আগে ভারতে আম প্রথম জন্ম ছিল। বুনো আমের উৎপত্তি ভারত ও মায়ানমারের হিমালয়ের পাদদেশে বলে মনে করা হয়। ফলটির প্রথম পরিচিত চাষ পায় ৫,০০০ বছর আগে দক্ষিণ ভারত, মায়ানমার এবং আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ এলাকায়।

বিভিন্ন জাতের আমের ছবি



রাজশাহীর বিখ্যাত সেরা 10 টি আমের জাত

আমকে ফলের রাজা বলা হয়। মধুমাসের এই সময়টাতে আম খেতে পছন্দ করে না এমন বাঙ্গালী পাওয়া খুবই দুষ্কর। বাজারে বিভিন্ন ধরনের আম রয়েছে কিন্তু কোনটা যে কি আম, তা চিনতে ও কিনতে বিড়ম্বনার শেষ নেই। অধিকাংশ ক্রেতায় আম চিনতে ভুল করেন। তাই সেরা দশ জাতের আম চেনার সহজ উপায় জেনে নেওয়া যায়-

গোপাল ভোগঃ

গোপাল ভোগের গায়ে সাধারণত হলুদ ছোপ দাগ থাকে। এটির নিচের দিকে একটু সরু এবং পাকার পর হলুদ হয়ে যায়। মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায় গোপাল ভোগ আম।

রুপালি আম আম্রপালিঃ

রূপালী আম বা আম্রপালি নিচের দিকে খানিকটা শোচালো এবং উপরে একটু গোলাকৃতি হয়। এই আম মিষ্টি বেশি ও স্বাদে অতুলনীয়।

ল্যাংড়াঃ

ল্যাংড়া আম দেখতে কিছুটা গোলাকার ও মসৃণ। এর নাক নিচের দিকে থাকে। এর খোসা খুবি পাতলা।

ক্ষীরসাপাতঃ

খিরসা পাত আম খুবই মিষ্টি হওয়ায় এ আনতে অনেকেই হিমসাগর বলে বিক্রি করেন। এই আম আকারে একটু বড় হয়। আমি হালকা দাগ থাকে। খিরসা পাত আম বাজারে পাওয়া যায় মে মাসের শেষে অথবা জুনের প্রথম দিকে।

আশ্বিনা ও ফজলিঃ

আশ্বিনা ও ফজলি দেখতে একই রকম। তবে আশ্বিনা আমি একটু বেশি সবুজ ও ফজলি আম খানিকটা হলুদ হয়। আশ্বিনার পেট মোটা হয় ও ফজলি দেখতে লম্বা ধরনের হয়।

হিমসাগরঃ

উৎকৃষ্ট স্বাদের সুগন্ধযুক্ত জাতের আমের মধ্যে হিমসাগরের অবস্থান প্রায় শীর্ষে। হিমসাগর আম জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে এবং পুরো জুন মাস বাজারে পাওয়া যায়। আমের ঠোঁট নেই গরম বুকের দিকটা গোলাকার এবং অবতল থেকে সামান্য লম্বাটে আকার নিয়ে শীর্ষ দেশের গোলাকৃতির হয়ে থাকে। পরিপক্ক হিমসাগর আমের রং হালকা সবুজ এবং পাকার পরও সবুজ থেকে যায়। ত্বক মসৃণ ও খোসা পাতলা।

হাড়িভাঙ্গাঃ

রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার বিখ্যাত ও সুস্বাদু আম হাড়িভাঙ্গা। এ আমের উপরিভাগ তুলনামূলক বেশি মোটা ও চওড়া এবং নিচের অংশ অপেক্ষাকৃতিক চিকন। আকারে বড় হওয়ার কারণে তিনটি নামে এক কেজি হয়ে যায়। এ আম মাংসালো, শ্বাস গোলাকার ও একটু লম্বা। চামড়া কুঁচকে যায় কিন্তু পচেনা।

সুবর্ণরেখাঃ

এই আমটির আকার মাঝারি ও ডিম্বাকৃতির। সাধারণত আগাম জাতের আম এটি। সুবর্ণরেখা আমের ভোটার পাসে লাল রং থাকে। সুস্বাদু ও রসালো এ আমটি নাম এ দেশে সুবর্ণরেখা বা সুন্দরী হলেও দক্ষিণ ভারতে এর নাম চিন্না আম।

আম খাওয়ার উপকারিতা

পাকা আম পটাশিয়াম সমুদ্র হয় এটি হার্টবিট ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। হার্টবিটকে সচল রাখতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করে থাকে। পাকা আম আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কারের সহায়তা করে। আমের মধ্যে থাকা টারটারিক,ম্যালিক ও সাইট্রিক এসিড শরীরে অ্যালকোহল ধরে রাখতে সহায়তা করে।

শিশুদের আম খাওয়ার উপকারিতা

শিশুকে আম খাওয়ানো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। আমি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও পটাশিয়াম থাকে। যা শিশুর বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খাবার। আম শরীরের রক্ত সঞ্চালনকে সচল রাখে এবং শিশুর বিকাশ সাধনের সহায়তা করে। শিশুকে আম খাওয়ালে যে সুফল গুলো পাওয়া যায় তা হল-

  • হজমে সহায়তা করে
  • চোখের জন্য ভালো
  • মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য ভালো
  • ত্বকের জন্য ভালো
  • রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি প্রতিরোধ করে
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে
  • স্বাস্থ্যকর ওজন বাড়াতে সহায়তা করে
  • সনস্ট্রোক প্রতিরোধ করে

শিশুদের মধ্যে আমে এলার্জি

আম খাওয়ার স্বার্থে সম্পর্কিত এলার্জি এবং এটি সম্পর্কে আপনি কি করতে পারেন সে সম্পর্কে-

আম হওয়ায় শিশুদের মধ্যে এলার্জির জনিত হতে পারে এবং তাই এটি প্রথম দেওয়া খাবারগুলির মধ্যে এটি একটি নয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা আপনার শিশুদের কোন গ্রীষ্মকালীন ফল খাওয়ানোর আগে কমপক্ষে ৮ মাস অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন। আমের প্রতি এলার্জির প্রতিক্রিয়া বিরল এবং গুরুতর কিছু নয়। এগুলি সাধারণত ত্বকে রেশ আকারে প্রদর্শিত হয়।

সর্বশেষ

আম গ্রীষ্মকালীন ফল যা মিষ্টি ও সুস্বাদু এবং উপকারী একটি ফল। এই ফল খেতে যেমন মজা কেমনে শরীর ও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। তাই আম মৌসুমে প্রত্যেকেরই উচিত আম ফল খাওয়া।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url