গরমে শিশুর যত্নে যেসব বিষয় নজর দিতে হবে
গরমে শিশুর যত্নে যেসব বিষয় নজর দিতে হবে
এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছে শিশুরা। গরমে ঘেমে-নেয়ে শিশুদের ঠান্ডা লেগে যায়। শরীরে অনেক সময় রেস বের হয়, ঘামাচি বের হয়। শিশুদের অসুস্থতা সঙ্গে তাদের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। চলুন জেনে নেই শিশুদের এই গরমে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনে কিছু পরামর্শ-
- নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করান।
- গরমে শিশুর খাবার নির্বাচনে সচেতন হতে হবে। শিশুকে পুষ্টিকর এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে এমন খাবার দিতে হবে।
- অন্যান্য খাবারের সঙ্গে গরমে শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফলের জুস খাওয়ান।
- গরমে শিশুর দুর্বলতা কাটাতে মাঝে মাঝে খাওয়ার স্যালাইন খেতে দিন।
- ছুটি পাতলা কাপড়ের নরম পোশাক পরান।
- বাইরের গরমে শিশুকে কম বের করুন।
- গরমের সময় শিশুর চুল ছোট রাখুন। কেননা বড় চুল শুকাতে সময় লাগে, আর ঘামও বেশি হয়।
- শিশুর যেন পর্যাপ্ত ঘুম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
- ঘরে ফ্যান বা এসির তাপমাত্রা শিশুর যতটাই স্বস্তিবোধ করে ততটুকুই রাখুন।
শিশু ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিতে হবে। শরীরের ঘাম শুকিয়ে গেলে শিশুর জ্বর হতে পারে। অনেক সময় এমন জ্বর অল্প দিনে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু বেশিদিন হয়ে গেলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
যেসব খাবারে বাড়বে শিশুর ক্ষুদা
' বাচ্চা ঠিকমতো খাবার খায় না'-এই অভিযোগ অনেক মা-বাবারি। এই নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ না থাকলেও শিশু কেন খেতে চায় না, তার কারণ খুঁজে বের করেন না অনেকেই। পুষ্টিকর খাবারের চেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়েই শিশু তার পেট ভরে রাখতে পছন্দ করে। এ অবস্থায় মা বাবার করনীয় কি? আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে খুঁজে পাওয়া যায় এ সমস্যার সমাধান, চলুন তা জেনে নেই আজকের আয়োজনে।
শুরু থেকেই শিশুর খাবারের ব্যাপারে আপনাকে একটি সঠিক পরিকল্পনা বা নিয়ম মেনে চলতে হবে। সন্তানকে খাবার খাওয়ায় আগ্রহী করে তুলতে কখনো আলাদা করে খাওয়াবেন ... বরং পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে বসে খাবার গ্রহণ করতে দিন। এটি আপনার শিশুর রুচি বাড়িয়ে দিবে।
শিশুর খাবারে আগ্রহ বাড়িয়ে তুলতে খাওয়াতে পারেন বিশেষ কিছু খাবার। আয়ুর্বেদ ছাত্র অনুযায়ী এ খাবার গুলো হল-
কুমরার বীজঃ কুমরার বীজ ফেলে না দিয়ে তা শুকিয়ে সসপ্যানে ভেজে সন্তানকে খাওয়াতে পারেন। এই বিষ কোন কিছু খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা তৈরি করতে পারে। এছাড়াও এ বীজ হজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে।
গাজরঃ গাজরের উপকারিতা অসংখ্য। এটি ক্ষুধা বাড়ানোর প্রবণতা মুকুটে আরেকটি পালক যোগ করেছে। এটি প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা অনেক পুরানো কৌ... খাবারের প্রয়জনেই ফ্রাই খুদা পুনরুদ্ধারের জন্য প্রায় ৩০ মিনিট আগে বাচ্চাকে গাজর খেতে দিন।
আদা ও তুলসীঃ ক্ষুদা বৃদ্ধির সঙ্গে একাধিক অসুখ নিয়ন্ত্রণ করে আদা ও তুলসী। বাড়িয়ে তুলে রোগ প্রতিরোধ শক্তিও। তাই সন্তানকে নিয়মিত আদার রস তুলসীর সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়াতে পার...
তেঁতুলঃ অগ্নি মান্ধ দূর করে ক্ষুধা বাড়াই তেতুল। তাই শিশুর ডায়েটে তেঁতুল বা এর চাটনি রাখতে পারেন।
আমলকিঃ আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি আছে। প্রতিদিন খালি পেটে আমলকি খেলে ক্ষুধা বাড়ে। এর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও জোরদার হ...
দারুচিনিঃ রান্নার কাজে ব্যবহৃত হলেও এ মসলা শিশুদের খিদে বাড়িয়ে তুলতে পারে। দারুচিনি পিষে এক গ্লাস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে দিন-বাচ্চাকে। এতে দুধের স্বাদ ও শিশুর খিদে দুই বাড়বে।
লেবুঃ লেবু দ্রুত ক্ষুধা বাড়াতে পারে। তাই আপনি আপনার সন্তানের জন্য লেবু পানি বা লেবুর রস তৈরি করতে পারেন। এ রস পান করার পর শিগগিরই বাচ্চার অসুখ সিস্টেম সক্রিয় হওয়া শুরু হবে এবং সে খাবার চাইবে।
দইঃ পাচক তন্ত্র কে ভালো করে উদ্দীপক করে তুলে দই। তাই নিয়মিত শিশুর খাবারে রাখতে পারেন দই। এই দই ক্ষুদা বারিয়ে তোলার পাশাপাশি শিশুর শরীরে কার্যকারী ভূমিকা রাখতে পারে।
অষ্টচুর্ণমঃ এটি একধরনের অক্টা হারবাল আয়ুর্বেদিও গুরো, যা বেশ জনপ্রিয়। শিশুর ক্ষুদা বাড়িয়ে তুলতে ভাত ও ঘি দিয়ে এই গুঁড়ো মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ানোর অভ্যাস করতে পারেন।
শিশুকে সুস্থ, সুন্দর ও ভালোভাবে রাখতে পরিবারের যত্ন ভালোবাসা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবারের উচিত শিশুকে সর্বদা সচেতন ভাবে পরিচর্যা করা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url