সুস্থতার জন্য যা যা করণীয
সুস্থতার জন্য যা যা করণীয
সুস্থতার জন্য জীবনধারায় পরিবর্তন ও খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করতে নতুন বছরের শুরুটা হতে পারে দারুন সময়। যদিও খুব অল্প সংখ্যক মানুষ তাদের সংকল্পে অটল থাকতে পারেন, তবুও নতুন বছরে স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য নেওয়া যেতে পারে বেশ কিছু সংকল্প।
সুস্থতার জন্য করনীয় কিছু উপায়-
- ওজন কমান
- স্বাস্থ্যকর খাবার
- অলস শুয়ে বসে থাকা কমান
- নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
- মানসিক চাপ কমানো
- পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম জরুরি
- ধূমপান বন্ধ করুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
ওজন কমান
উচ্চতা অনুযায়ী আপনার ওজন যদি বেশি হয়ে থাকে, তাহলে সুস্বাস্থ্যের জন্য ওজন কমানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওজন কমার সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগ, টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মত রোগের ঝুকি কমতে শুরু করে ওজন কমাতে চাইলে স্বাস্থ্যকর খাবার খান ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার
স্বাস্থ্যকর খাবারের সঙ্গে দুটি বিষয় জড়িত। প্রথমত, কি খাচ্ছেন এবং দ্বিতীয়, কিভাবে খাচ্ছেন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফল ও শাকসবজি থাকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ফল ও শাকসবজিতে ক্যালোরি ও চর্বি কম থাকে, ফাইবার বেশি থাকে। এবং এগুলো ভিটামিন ও খনিজের ভালো উৎস। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
খুব দ্রুত খাওয়া ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ হতে পারে। তাই ধীরে ধীরে এবং ভালোভাবে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। খাওয়ার সময় টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন থেকে দূরে থেকে খাবারটির উপভোগ করতে হবে। খাওয়ার সময় আপনার পেট ভরে গেলে মস্তিষ্কে সেই বার্তা যেতে ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তাই পেট ভরে গেছে, এমন অনুভব হওয়ার আগে খাওয়া বন্ধ করা উচিত।
অলস শুয়ে-বসা থাকা কমান
নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি শরীরকে সার্বক্ষণিক সক্রিয় রাখার জন্য অলসভাবে শুয়ে বসে কাটানো এড়িয়ে চলুন। দৈনন্দিন কাজে ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন আনার মাধ্যমে যা সম্ভব। যেমনঃ দোকানের দরজার একদম কাছে গাড়ি পার্ক না করে একটু দূরে পার্ক করা এবং হেঁটে দোকানে যাওয়া, লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যবহার কর্ টেলিভিশন দেখার সময় সহজ কিছু ব্যায়াম করা। শারীরিকভাবে যত বেশি সক্রিয় থাকতে পারবেন, সময় সঙ্গে সঙ্গে ততটাই ভালো বোধ করবেন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
প্রতি বছর নিয়মিত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সুস্থতার জন্য প্রয়োজনের একটি বিষয়। এতে করে ছোটখাটো স্বাস্থ্য সমস্যা বড় আকার ধারণের আগে সনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব। শারীরিকভাবে সুস্থ বোধ করলেও প্রতিবছর নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না।
মানসিক চাপ কমান
মানসিক চাপ কমানোর জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।। অতিরিক্ত চাপ অনুভব করলে শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, হাটা বা গান শোনার মত সাধারন কাজগুলো সহায়ক হতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ স্বাস্থ্য ও সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলে। তাই এর থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় বের করার কোন বিকল্প নেই।
পর্যাপ্ত ও ভালো ঘুম জরুরি
ভালো ঘুম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মানসিক সুস্থতা বাড়ায়। আরামদায়ক ঘুমের জন্য রুটিন তৈরি, ঘুমানোর আগে মোবাইল বা টেলিভিশন দেখার সময় কমানো এবং ভাল ঘুমের পরিবেশ তৈরি প্রয়োজনীয় বিষয়। যদি অনিদ্রার সমস্যা থাকে, তাহলে মানসিক চাপ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ধুমপান বন্ধ করুন
ধূমপান শরীরের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের ক্ষতি করে। এছাড়া, জর্দাসসহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ার খাওয়ার মুখের ক্যান্সার সৃষ্টি করে এবং নিকোটিন আসক্তির কারণ হতে পারে। কাজেই সুস্থ থাকতে যে কোন প্রক্রিয়াতেই তামাক সেবন বন্ধ করার পরিকল্পনা করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
শারীরিক ব্যায়াম বা শরীররতা হল যে কোন শারীরিক কার্যক্রম বা শারীরিক সুস্থতা রক্ষা বা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এর অপর একটি অর্থ হলো শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত আন্দোলন। বিভিন্ন কারণে ব্যায়াম করা হয়, যেমন-মাংসপেশি ও সংবহনতন্ত্র সবল করা, ক্রিয়া নৈপুণ্য বৃদ্ধি কর্ শারীরিক ওজন হ্রাস করা বা রক্ষা করা কিংবা শুধু উপভোগ করা।
নিয়মিত ব্যায়াম মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা পুনরুদ্ধার হতে সাহায্য করে। ব্যায়াম শরীরের স্থুলতা কমাতে কাজ করে। স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কারীরা শারীরিক ব্যায়ামকে "অলৌকিক"বা "আশ্চর্যজনক"ঔষধ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
লেখকের মতে,
সুস্থ থাকার জন্ন্যে যেসব সংকল্প গ্রহন করবেন,বছর জুড়ে তার বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে যায়। কাজেয় জীবনযাত্রার সাথে মানানসই সংকল্প নির্ধারন করে তা নিয়মিত মেনে চলা উচিত। এতে সফল হওয়ার সম্ভবনা বাড়বে।স্বাস্থকর নতুন অভ্যাস তৈরি করতে সময় ও ধৈর্য শক্তি প্রয়জন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url