বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট কীঃ
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের প্রথম ভুস্থির যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ। এটি ২০১৮ সালের ১১ই মে ( বাংলাদেশ সময় ১২ মে ) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের " কেনেদি স্পেস সেন্টার" থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে ৫৭ তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যটেলাইট উৎক্ষেপণ কারী দেশের তালিকায় যোগ হয় বাংলাদেশ। এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগ বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ টেলিযোগ নিয়ন্ত্রন কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়িত হয় এবং এটি ফ্যালকন-৯ ব্লক৫ রকেটের প্রথম পণ্য উৎক্ষেপণ ছিল।
সুচনাঃ
পৃথিবী যত উন্নত হচ্ছে গ্রহ থেকে গ্রহান্তরের সংবাদও মানুষ তত দ্রুত পেয়ে যাচ্ছে। আর এই সংবাদ সংগ্রহে কাজ করছে বিভিন্ন কৃত্রিম উপগ্রহ। পৃথিবীর অনেক দেশের মত বাংলাদেশ ও মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠিয়েছে। আমাদের এয় কৃত্রিম উপগ্রহটির নাম বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট। এর মমাধ্যমে আমাদের জন্য টিভি চ্যানেল পরিচালনা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংবাদ আদান প্রদান আরও সহজ হবে।
বঙ্গবন্ধু-১
অভিজানের ধরন যোগাযোগ এবং সম্প্রচার স্যটেলাইট
পরিচালক বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড
অয়েবসাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রকল্প,বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেড
অভিজানের সময়কাল ১৫ বছর
মহাকাশযানের বৈশিষ্ঠ্য
বাস স্পেসবাস ৪০০০বি২
প্রস্তুতকারক থেলিস অ্যালেনিয়া স্পেস
উৎক্ষেপণ ভর -৩,৭০০কিলগ্রাম(৮,২০০ পাউন্ড)
ক্ষমতা ৬ KW
অভিজানের শুরু
উৎক্ষেপণ তারিখ ১১মে ২০১৮,২০ঃ১৪ ইউটিসি (১২মে ২০১৮,০২ঃ১৪ বি এসটি )
উৎক্ষেপণ রকেট ফ্যালকন৯ ব্লক ৫
উৎক্ষেপণ স্থান কেনেডি স্পেস সেন্টার লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯এ
ঠিকাদার স্পেস এক্স
কক্ষপথের বৈশিষ্ঠ্য
আমল জিইও
দ্রাঘিমাংশ ১১৯.০৯ ডিগ্রি
উৎকেন্দ্রিকতা ০.০০০১
অনুভু ৩৫৭৮৯.৩ কিমি
অ্যাপোgee ৩৫৭৯৮.৫কিমি
পর্যায় ১,৪৩৬.১ মিনিট
কক্ষীয় বেগ ৩.০৭কিমি.\সে
কক্ষীয় প্রসঙ্গ- সময়বিন্দু ৬ই জুন ২০১৮
ট্রান্সপন্ডার
ব্যান্ড ১৪ সি ব্যান্ড,২৬ কেইন
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর সুযোগ সুবিধা
সুবিধাঃ
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে ৩ ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে...
টিভি চ্যানেল গুলো তাদের সম্প্রচার কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য স্যাটেলাইট ভারা করে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট চ্যানেলের সক্ষমতা বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় হবে। আবার দেশের টিভি চ্যানেল্গিলো যদি এই স্যাটেলাইটের সক্ষমতা কেনে তবে দেশের টাকা দেশেই থাকবে। এর মাধ্যমে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস চালু সম্ভব।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মোট ফ্রিকোয়েন্সি ক্ষমতা হলো ১ হাজার ৬০০ মেগাহার্জ। এর ব্যান্ডউইথ ও ফ্রিকোয়েন্সি ব্যবহার করে ইন্টারনেট বঞ্চিত অঞ্চলে যেমন পার্বত্য ও হাওড় এলাকায় উচ্চগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা দেয়া সম্ভব।
বড় প্রাকিতিক দুর্যোগের সময় মোবাইল নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়ে। তখন এর মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখা সম্ভব হবে।
অসুবিধা
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটের প্রধান অসুবিধা হচ্ছে রাষ্ট্র এর থেকে তেমন অর্থ আয় করতে পারবে না।
স্লোগানঃ 'জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগানে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টি উৎক্ষেপণ করা হয়। বাংলাদেশের স্যাটেলাইট টিতে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে 'বিবি' আর রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের লোগো।
উপসংহার
পরিশেষে আমরা বলতে পারি, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তির ইতিহাসে যুগন্তকারী ঘটনা। এটি বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে এক অনন্য উচ্চতায়। বাংলাদেশ এখন ৫৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কারি দেশের অভিজাত ক্লাবের গর্বিত সদস্য।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url